দুনিয়ার প্রাচুর্যশালী ব্যক্তিবর্গ, সংস্থা, খ্যাতিমান,এর কীর্তি,তথ্য, উপাত্ত দিয়ে তৈরি করে বিশেষ বিবেচনার জন্য। মহৎ মানুষের গভীর ক্রন্দন থেকে সারা জীবনের সঞ্চয়ী সকল অর্থ দান করে গেলেন মানব কল্যাণার্থে। যিনি রেখে গেলেন তিনি আজ বিতর্কিত। য আলফ্রেন্ড নোবেল পৃথিবীর তাবৎ মানুষের মনের মনি কোঠায় স্থান করে রয়ে গেল এবং তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী প্রজন্মের চিলি কোঠায়। ভারত উপমহাদেশে প্রথম ১৯১৩ সালে সাহিত্যের এক অঙ্গে গীতাঞ্জলির জন্য রবীন্দ্রনাথ প্রথম নোবেল প্রাইজ এ নির্বাচিত হন। আমরা ভারতবাসী গভীর আপ্লুত, গর্বিত। নন্দিত নায়ক রবি ঠাকুর বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নেওয়ায় কোটি প্রণাম। বিশ্বকবি রবি ঠাকুর কবি,নাট্যকার, ছড়াকার, গীতিকার ছিলেন। উপরন্ত তাকে স্বভাব কবি ও বলা হয়। ভারত উপমহাদেশে তিনজন স্বভাব জন্মেছিলেন। তারা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি গোবিন্দ্র নাথ। তারা কাগজ কলম হাতে নিলেই কলম যোদ্ধা হয়ে যান। এইজন্য এই তিনজনই স্বভাব কবি হয়েছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২০০ কোটি মুসলিমের প্রতিনিধিত্ব করে কবিতা লিখে জেল খেটেছেন, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই।
“রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”এই গান টি তো শিক্ষা সংস্কৃতিতে পড়ে। ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন তার দৃষ্টান্ত তো পৃথিবীর ইতিহাসে আর কারো নাই। কিন্তু উনারা মুসলিম হওয়ায় তার নজর করেনি পৃথিবীর কোন সংস্থায়। নজর কারেণি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। যিনি প্রায় ৪৪ বছর পর্যন্ত দলনেত্রী, পঞ্চম বারের মত একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যা ইন্দিরা গান্ধীর থেকেও প্রায় ১০ বছর বেশি ক্ষমতা আরোহণ করে আসছেন। কিন্তু এই বাঙালি নেত্রী নাকি বিশ্বের ২২ তম ক্ষমতাধর নারী। যদি উনি ইউরোপ বা আমেরিকার কোন অখ্যাত দেশের নেত্রী ও হতেন তাহলে একাধিকবার নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হতেন। তবে ডক্টর ইউনুস এর জন্য তাদের দরদের কমতি নেই। যদিও আরেকবার নোবেল উপাধি দেওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে তদবির করা উচিত। আমাদের সন্ত্রাসী প্রতিবেশী মিয়ানমার তারা যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার প্রতিবাদ না করে আমাদের ধনাঢ্য প্রতিবেশীরাও কৌশলে চুপ করেছিলেন। রোহিঙ্গা মুসলিমরা দুনিয়ার কেয়ামত দেখে দিগ্বিদিক হারিয়ে এই বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিল। ১৫ লক্ষ মুসলিমকে জীবিত অবস্থায় আশ্রয় দিয়ে যে নজির বাংলার প্রধানমন্ত্রী স্থাপন করলেন তাকে শতবার নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত। ৭২ টি বাংলাদেশের সমান কানাডা সেখানেও কি এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিতে পারতো না? অথবা ৩৮ টি বাংলাদেশের সমান দেশ নিয়ে আমাজান বন সৃষ্টি সেখানে কি এই অসহায় রোহিঙ্গাদের স্থান হতো না? কারণ আশ্রয় প্রার্থীরা সবাই মুসলিম, সেজন্যই এত অবহেলা। ভাই আমরা এই বিবেকহীন বিচারকদের ঘৃণা করি। তামাশার বিচার ব্যবস্থা মানি না, ভুয়া জাতিসংঘ মানি না।